ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের নানা ঘটনার পাশাপাশি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরের নিপীড়নের চিত্র গণভবনের জাদুঘরে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম ৩৬ দিনের পুরো সময়ের স্মৃতির দিনলিপি থাকবে। আন্দোলনের যারা নিহত হয়েছেন, তাদের তালিকা ও স্মৃতি থাকবে। আমাদের এই আন্দোলন ছাড়াও গত ১৬ বছরের লড়াইয়ের একটি মুহূর্ত আমরা যা (৫ আগস্ট) পেয়েছিলাম সেই স্মৃতিও থাককে এই গণভবনে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে নিপীড়ন হয়েছে, যারা গুম হয়েছেন, তাদের তালিকাও থাকবে। যারা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন, এসব বাপ্যারে একটি উপস্থাপনাও থাকবে। গণভবনে যে স্থাপনা এখন ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, সেটিকে এই অবস্থায় রেখে এখানে জাদুঘর করা হবে।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্ট নাহিদ ইসলাম। এ সম তার সঙ্গে ছিলেন শিল্প, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও গণপূর্ত ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত গণভবনকে জুলাই-আগস্টে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোল থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ধরে রাখতে জাদুঘর করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্তর্র্বতী সরকারের তিন উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেছেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে গণভবনে আমরা কাজ শুরু করব। এই কাজ যাতে শেষ করে দ্রুত যেন জাদুঘর উদ্বোধন করা যায়। তিনি বলেন, এই জাদুঘর তৈরীর কাজে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। সেই কমিটি’কে দেশ-বিদেশের শিল্পী ও জাদুঘর-বিশেষজ্ঞ এবং অভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে জাদুঘর তৈরী করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি গণভবনের দেয়ালে প্রচুর গ্রাফিতি রয়েছে। গণভবনের চারপাশে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। ভবনের যেসব আসবাপত্র লুট হয়েছে, পরে সেগুলো মানুষ রেখে গেছেন-সব কটি আসবাপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব সেগুলোকে রেখেই দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে।