গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈবিছআর (বৈদেশিক বিনিয়োগ, শিক্ষা ও চাকরি সংক্রান্ত আর্থিক সংস্থা) নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারি দপ্তরে চাকরি করা অনৈতিক। যারা এসব দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে গণঅধিকার পরিষদ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম নয়। বর্তমান সরকার একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করছে এবং ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ড. ইউনুসের চারপাশে যারা রয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের দালাল। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরকারের উপদেষ্টাদের টাকা দিচ্ছেন এবং তারা বিভিন্নভাবে সরকারের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন।
উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ ও মাহফুজকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে গণঅধিকার পরিষদ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে এবং যমুনা ঘেরাও করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ইসলামিক শক্তিকে সহ্য করতে পারছেন না এবং তার মতো নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ব্যক্তি উপদেষ্টা পদে থাকতে পারেন না।
রাশেদ খান বলেন, সরকার নিরীহ আওয়ামী লীগ কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, অথচ বড় বড় নেতাদের গ্রেপ্তার করছে না।