জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে চরে ঘরে ফিরছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ঈদ যাত্রার ৩য় দিনে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ অনেকটা বেড়েছে। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ লাইনের চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে ব্যাপক ভিড় পড়েছে। ট্রেনের ভিতরে জায়গায় না থাকায় ছাদে ও ইঞ্জিনে করে মানুষ ঘরে ফিরছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেনের ভিতরে জায়গা না পাওয়া যাত্রীরা ঠাঁই নিয়েছে ট্রেনের ছাদে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরছে বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ। জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ভিতরে এবং ছাদে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।
জানা গেছে, কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস, অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, ঈদ স্পেশাল ট্রেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, বলাকা কমিউটার, মহুয়া কমিউটার, জামালপুর কমিউটার ট্রেনগুলোতে দেখা যায় প্রচণ্ড ভিড়। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ লাইনের চলাচলকারী ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে।
জামালপুর কমিউটার ট্রেনে ময়মনসিংহগামী যাত্রী মো: আলামিন মিয়া তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের ছাদে চরে বাড়ি ফিরছেন। এ সময় তিনি জানান, ট্রেনের ভিতরে জায়গায় না পাওয়ায় ছাদে উঠতে হয়েছে।
ছাদে ভ্রমণ করা সালমা আক্তার জানান, বাড়ি যেতেই হবে। স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার জন্য এতো কষ্ট করে বাড়ি যাওয়া।
আরেক যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছি। ময়মনসিংহে যাবো গফরগাঁও স্টেশনে এসে নিজের আসনে বসার জায়গা পারছি।
গফরগাঁও স্টেশনের ফাঁড়ি ইনচার্জ কার্তিক চন্দ্র জানান, যাত্রীরা যেন ছাদে চরে ভ্রমণ না করে, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে এবং মোবাইল ফোন চুরি, অপরিচিত কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে পানীয় বা খাবার জাতীয় কিছু গ্রহণ না করে সে ব্যাপারে যাত্রীদের সতর্ক করছি।
গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে কমলাপুর থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহগামী কোনও ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। নির্ধারিত সময়েই ট্রেনগুলো যাওয়া-আসা করছে।