টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সর্মথকদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ঘাটাইলের এক ইউপি সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বাঘাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আহত ঘাটাইল-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল প্রতীক) সমর্থকরা হলেন লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আমিরুল ইসলাম, তার বড় ভাই মো: রুহুল আমিন, মো: হামিদুল ইসলাম, ও মো: জহিরুল ইসলাম। অপর দিকে আহত (নৌকা প্রতিক) আমানুর রহমান খান রানার সমর্থকরা হলেন লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জাফর আহমেদ।
স্থানীয় লোকজনরা জানান, স্থানীয় ভাতাভোগীদের ডেকে এনে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের ঈগল প্রতীকে ভোট না দিলে এ ভাতা দেওয় হবেনা বলে হুমকি দেন লক্ষীন্দর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো: আমিরুল ইসলাম। এ খবর শোনার পরপরই একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করেন। এ সময় আমিরুল ইসলাম ও তার কয়েকজন ভাই নৌকা পার্থীর সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনার জেরেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের শাসানো ও গালিগালাজের অভিযোগ মিথ্যা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছেল। এ সময় হঠাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা এসে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করে ও আমাদের অফিস ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবু ছালাম মিয়া বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।