রাজধানীতে টানা বৃষ্টিতে অনেক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার (৩০ মে) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই বিরামহীন বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্যামপুর, গেন্ডারিয়া ও কদমতলীর বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছেন, পানি জমে থাকলেও দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ড্রেনগুলো পলিথিন ও আবর্জনায় ভরাট হয়ে পড়ায় পানি বের হচ্ছে না। দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক সড়ক।
“শ্যামপুরের মুন্সি বাড়ি, দারোগাবাড়ি, জুরাইন কমিশনার রোড, চেয়ারম্যানবাড়ি কলেজ রোড, নবারুল স্কুল গলি ও মিষ্টির দোকান–এসব রাস্তায় যেন পানিই নিত্যসঙ্গী। বর্ষা এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।”
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিকশা কিংবা অটোরিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন পাচ্ছেন না। কিছু বাহন পাওয়া গেলেও ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে হাঁটু পানিতে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
জলাবদ্ধতায় শুধু চলাচলেই নয়, বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। অনেকেই দোকান খুলতে পারেননি, আর যাঁরা খুলেছেন, তাঁদেরও বিক্রি নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কাজ শুরু করেছি। অচিরেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।”
নগরবাসীর দাবি, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ড্রেন পরিষ্কারসহ আগাম প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হোক।