ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারের দপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে তাকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়—পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি আর গোয়েন্দা শাখায় থাকছেন না।
এই বদলির সিদ্ধান্ত সময়ের দিক থেকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কয়েকদিন আগেই ডিবি সদস্যদের হাতে আটক হন মডেল মেঘনা আলম—যার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মেঘনা আলমকে আটক ও গ্রেপ্তারের ঘিরে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট করে বলেন, “মেঘনাকে গ্রেপ্তারে আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।”
তিনি আরও জানান, এই ইস্যু নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনাও হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এই বিতর্কিত গ্রেপ্তার-ই ডিবি প্রধানের সরিয়ে দেওয়ার কারণ?
রেজাউল করিম মল্লিকের পুলিশি জীবনের শুরু ১৯৯৮ সালে, ১৭তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার হিসেবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি ২০২3 সালের ১ সেপ্টেম্বর ডিবি প্রধান হন। এর আগে তিনি সিআইডি সহ একাধিক ইউনিটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।
ডিএমপি কমিশনারের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক প্রয়োজনে এই রদবদল করা হয়েছে। তবে সময়টা এমন, যখন মেঘনা আলম ইস্যু নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কিছুটা অস্বস্তি কাজ করছে।
এমন প্রশ্ন তাই উঠতেই পারে—এটা কি শুধুই রুটিন বদলি, নাকি নেপথ্যে আছে বিতর্কিত গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া?