বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মো: কাউসার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এতে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা একজোট হয়ে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আহত শ্রমিকদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ২ গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন নয়ন ও মো: রাসেল। আহতরা সকলেই আশুলিয়ার ‘ন্যাচারাল গার্মেন্ট’ এর শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর গোটা শিল্পাঞ্চলে থম-থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম।
এদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটারের দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সব যাত্রীরা। শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জনা গেছ, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বার্ডস গ্রুপের সব শ্রমিকরা। গত ২৮ আগস্ট বুধবার) থেকে আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকার ‘বার্ডস গ্রুপ’ বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ।
সোমবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ তা করেনি। এরই প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পোশাক শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে যানবাহন চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে সোমবার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা খোলা দেখা যায়। এরমধ্যে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ১১টি ও সাধারণ ছুটির কারনে সাতটিসহ মোট ১৮টি কারখানা বন্ধ আছে।
শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, সব ধরনের সহিংসতা এড়ানোর জন্য শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, বিজিবি, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা।