ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছ। হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)কে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়েছে একটি মহল। এ ঘটনায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হাজির হয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়রি করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।
শনিবার রাতে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: শরীফুজ্জামন শরীফ গণমাধ্যমকে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানায় জিডি হয়েছে বেশিক্ষণ হয়নি। আমরা সাধারণত ১২-১৩ ঘণ্টা পরে অফিসিয়াল কপি পাই। আপনি যে কপিটা পেয়েছেন সেটি আমিও পেয়েছি, তবে অফিসিয়াল পাইনি। জিডি হয়েছে এ বিষয়টি নিশ্চিত।
জিডিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে আমার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সরকারি মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন করে জানান যে, আপনাকে হত্যা করার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত ৩ দিন আগে ৪ থেকে ৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাত্রে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে চলাফেরা করবেন।
জিডিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, তখন আমি ওসি’র কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পর আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
জিডির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে ব্যারিস্টার সুমন লেখেন, ভয়টা মৃত্যুর নয়, ভয়টা আমার এলাকার মানুষের জন্য। কি হবে তাদের, যদি আমি বেঁচে না থাকি।
হুমকির বিষয়ে জানতে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে একজন গণমাধ্যম কর্মীর সাথে ওসি’র কথোপকথনের একটি অডিও পাওয়া গেছে।
সেখানে ওসি’কে বলতে শোনা যায়, আমাকে এক ব্যক্তি ফোন করে এমপি সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দিতে বলেন। আমি বলি যে, এটা আমার কাজ নয়। তখন ওই ব্যক্তি আমার কাছে এমপি সাহেবের নম্বর চায়। এ সময় আমি তার নাম-পরিচয় জিগ্যেস করলে সে বলে, এমপি সাহেবের জন্য একটা থ্রেড আছে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি এমপি সাহেবকে জানায়।
থ্রেডকারীরা যে শক্তিশালী এটি আপনি জানলেন কীভাবে, ওই সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ওসি।