রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাকিন (১৪) নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সে মারা যায়।
দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “আজ দুপুর ১টার দিকে মাকিন মারা যায়।”
গাজীপুর জেলা সদরের কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে মাকিন মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
এর আগে সকালে একই দুর্ঘটনায় দগ্ধ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০) মৃত্যুবরণ করে। সে শরীয়তপুরের বেদরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
শোকের ভারে ভারাক্রান্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে তাদের ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। তখন ক্লাসে ছিলেন বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় ভবনের একটি অংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবার সকাল ১০টার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ৫১ জন।
মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা শুধু পরিবার নয়, পুরো জাতিকে শোকাহত করেছে। ক্ষতিপূরণ নয়, এই প্রাণহানির কোনো প্রতিস্থাপন নেই—এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।