দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যদি সরকারকে অর্পিত দায়িত্ব পালন প্রায় অসম্ভব করে তোলা হয়—তাহলে সরকার তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠকে এই অবস্থান জানানো হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা সময় নানা অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচির কারণে সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে জনমনে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।”
বৈঠকে উপদেষ্টারা মত দেন, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালনে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত শোনা হবে এবং সরকারের অবস্থান জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পরাজিত শক্তি বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলে, সেইসব কারণ জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে এবং সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।”
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে। কিন্তু যদি কারও কর্মকাণ্ডে সেই পথ রুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তবে সরকার তার সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবে না।