দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানকে পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আসামি পক্ষের জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় তাকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর দুদক আইনের ২৭(১) এর ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের রায়ে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে সাবেক এমপি মিজানকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এছাড়াও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত মিজানুর রহমানের ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিচার চলাকালে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।