বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের গর্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী আপামর জনতা স্বাধীনতার লক্ষ্যে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এবং বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।”
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে এর সমর সক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও শান্তিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী আজ সুপ্রশিক্ষিত, আধুনিক ও দক্ষ।”
সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দেশের স্বার্থে, দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনের সময় জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
পরিশেষে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। দেশ ও জাতির কল্যাণে সেনাবাহিনীর এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”