ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যে, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়েছে। বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, কেন্দ্রীয় জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি ও হিন্দু বোদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সকাল থেকে নানা আয়োজন ছিলো দিনটিকে ঘিরে।
সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। বিকেল থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয় গীতা পাঠ, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, ধর্মীয় গান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার।
সকালে শোভাযাত্রায়, শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা, সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডু, শেরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাধন কর্মকার কৃষ্ণ, জগন্নাথ মন্দির কমিটির সভাপতি সমির কুন্ডু, সহ-সভাপতি প্রকাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুন্ডু, শেরপুর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দত্ত, সাংবাদিক দীপক কুমার সরকার, পৌর কাউন্সিলর করুনা রানী ঘোষ, সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যাম, চন্দন কুমার দাস রিংকু, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের শুভ কুন্ডু, জনি মোহন্ত, সৌরভ অধিকারি শুভ সহ বিভিন্ন মহলের শত শত ভক্তের অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে আয়োজিত আলোচনা সভা, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজমগীর হোসাইন, সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডু, শেরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু, পৌর কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যাম সহ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত শত শত প্রতিযোগী ও কৃষ্ণ ভক্তের শতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সনাতন ধর্মীয় মতে, দ্বাপর যুগের শেষ দিকে মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃৃষ্ণ।
হিন্দু পুরান মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯ তম জন্ম উৎসব পালন করছে কৃষ্ণ ভক্তরা।
হিন্দু ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এবছর ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর দু’দিনই পালন করা যাবে জন্মাষ্টমী। ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪.০৮ মিনিটে শুরু হয়ে, ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে সমাপ্ত হবে।