বগুড়ার শেরপুরে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা, বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগের মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (৩৩), মির্জাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মাসুদ রানা (৩৯) ও সুঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম (৩২)।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে তাদের নিজ বাসভবন থেকে এবং বিকেলে পৌর শহরের ফলপট্টি এলাকা থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর কুসুম্বি ইউনিয়ন বিএনপি’র সা: সম্পাদক গোলাম মোস্তফা গোলাপ বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এই মামলায় এজাহারভুক্ত করা হয় বগুড়া- ০৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ছেলে আসিফ ইকবাল সানি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, শেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শুভ ইমরান, নাজমুল আলম খোকন, বগুড়া ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি (এপিএস) কোরবান আলী মিলন, কারিমুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, আবু হান্নান সবুজ, রাব্বী, নাইম, সাজু সহ ৭৪ জনের নাম।
এজাহার সুত্রে জানাযায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ০৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন গোলাম মো. সিরাজ। দলীয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় উপজেলার গোসাইবাড়ি বটতলা এলাকায় মোটরসাইকেল, মাইক্রো বাস ও জীপ গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার সময় এই নির্বাচনী প্রচারণার উপরে অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা অনেকে আহত হন।
এছাড়াও হামলাকারীরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওই সময়ে এই নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নেওয়া স্থানীয় বিএনপি’র অনেকে আহত হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নাম এই মামলার তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।