চৈত্রের শেষ দিন আর নতুন বছরের নববর্ষের সকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝরতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিসের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে, আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে আবহাওয়ায় দেখা দিতে পারে বৈচিত্র্য।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও দেখা যেতে পারে বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্যও।
অন্যদিকে, বৈশাখের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। এ সময় সারাদেশের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির পূর্বাভাসের পাশাপাশি কিছু অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী, বান্দরবান ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে এই তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
প্রকৃতি যেন নতুন বছরের শুরুতে বৃষ্টি আর মেঘের ছায়ায় বৈচিত্র্য এনে দিতে চায়। বৈশাখের উৎসবে যারা খোলা আকাশের নিচে বের হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখা হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ্টি যেমন গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি এনে দিতে পারে, তেমনি বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া কিছুটা সতর্কতা দাবি করে। তাই উৎসবের পাশাপাশি চোখ রাখুন আকাশের ভাষাতেও