বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানপন্থি’ বলে কোনো মতাদর্শ বা গোষ্ঠী নেই বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরনের ট্যাগ দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ান মিডিয়া ও কিছু মহল বাংলাদেশের ছাত্র ও গণমানুষের প্রতিবাদকে ‘পাকিস্তানপন্থি’ বলে প্রচার করছে। এটি একধরনের রাজনৈতিক ফ্রেমিং, যা ভারতীয় আধিপত্যবাদী বর্ণনায় বাংলাদেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।”
আজিজুল হক বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে পাকিস্তানপন্থি বলে ট্যাগ করা মানে হলো ইতিহাস বিকৃতি এবং জনগণের কণ্ঠরোধ করা। আমরা এই অপচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছি।”
তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সাতচল্লিশের দেশভাগ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান—প্রত্যেকটি আন্দোলন ছিল জুলুম, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। তাই ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ই আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অংশ।”
হেফাজতের এই নেতা অভিযোগ করেন, “গত ফ্যাসিবাদী আমলে ভারতীয় রেটোরিক ব্যবহার করে দেশের ইসলামী নেতৃত্বের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সেই চর্চার পুনরাবৃত্তি হলে তা হবে জাতির জন্য আত্মঘাতী।”
তিনি বলেন, “আজকের বাংলাদেশে আমরা ‘পাকিস্তানপন্থি’ বলে কিছু দেখতে পাই না। আমাদের বিশ্বাস, এই দেশ বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সাতচল্লিশ, একাত্তর এবং চব্বিশ—এই তিন অধ্যায়ে ঐক্য গড়ে তোলা সময়ের দাবি।”
আজিজুল হক ইসলামাবাদী সতর্ক করে বলেন, “ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী ঐক্যকে ধ্বংস করতে বিদেশি বর্ণনাগুলো ঢালাওভাবে প্রয়োগ করা হলে তা নতুন বিভেদ সৃষ্টি করবে। আমরা সবাইকে দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই।”