প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে পালিয়ে যাওয়া স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলায় ৬ পুলিশ আহত হয়েছে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত ছাত্রী কুড়াইল শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের কুড়াইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রের পুত্র হিরোনের সাথে একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের মেয়ে মুন্না রাণীর (১৩) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার মুন্না রানী পালিয়ে গিয়ে প্রেমিক হিরোনের বাড়িতে ওঠে। মুন্না রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য হিরোনের বাড়িতে যায়।
এ সময় হিরোনের বাড়ির লোকজনের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা হয়। এরএক পর্যায়ে গ্রামের প্রতাপের নেতৃত্বে একদল গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। গ্রামবাসীর হামলায় নিজেদের রক্ষার্থে মসজিদে আশ্রয় নিলেও সেখানে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করে তাদেরকে মসজিদে আটকিয়ে রাখে।
এ হামলায় মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন আহত হন। খবর পেয়ে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে আটকিয়ে রাখা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ায়।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রুহুল আমিন জানান, পালিয়ে যাওয়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং তার প্রেমিক হিরোনসহ তার পরিবারের লোকজন ও হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।