বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম শুরু করেছে। তবে বাজারে আলুর সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা এখনও বেশি দামেই বিক্রি করছে আলু।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের কালি উঠতে শুরু। প্রতি কেজি কালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পেঁয়াজের কালি ওঠায়, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
বাজারে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাজারে আলু কিনতে গিয়ে এখনও ক্রেতারা হিমসিম খাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, হিমাগার পর্যায়ে এখনও আলুর দাম বেশি। এর ফলে খুচরা পর্যায়ে কমেনি আলুর দাম।
আড়তদাররা বলছেন, প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়তে থাকে। এছাড়াও হিমাগার থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু দেয়া হচ্ছে না। পুরোদমে নতুন আলু বাজারে উঠলে দাম কিছুটা কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পুরান আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ক্রেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আলুই ছিল গরিবের ভরসা। তবে অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সেই আলুর বাজারও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে সরকার বাজারে ঠিক মতো মনিটরিং করলে আলুর দাম কমতে পারে।