রমজানে স্থিতিশীল থাকা পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে গেছে। যেখানে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়, সেখানে বুধবার (১৬ এপ্রিল) তা দাঁড়িয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়, আর খুচরায় ৫৫-৬০ টাকা। তবে দাম বাড়ার পেছনে কেউই সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা দোষ দিচ্ছেন আড়তদারদের, আর আড়তদাররা দুষছেন কৃষকদের মজুত প্রবণতাকে।

কারওয়ান বাজারের এক আড়তদার জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করে লোকসানে পড়ার ভয়ে কৃষকরা এখন পেঁয়াজ বাজারে না ছেড়ে মজুত করে রাখছেন, এতে সরবরাহ কমে গিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
ভোক্তারা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি পরিকল্পিত এবং বাজারে আবারও ‘সিন্ডিকেট’ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বলছেন, নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী ও দাদন ব্যবসায়ী বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কারসাজিরই অংশ। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য না থামালে ভবিষ্যতে আরও পণ্যে এমন সংকট দেখা দেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে স্বচ্ছতা ফেরাতে জরুরি ভিত্তিতে মনিটরিং জোরদার, কৃষকদের সরাসরি বিক্রির সুযোগ তৈরি, এবং মধ্যসত্ত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো দরকার। না হলে কোরবানির ঈদের আগে বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে।