পেঁয়াজ-আলুর বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ডিম-মুরগি ও ইলিশ মাছের দামও কমেছে । শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, দীর্ঘ দিনি পর নতুন আলুর দাম ১০০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকায় নেমেছে। পাইকারি বাজারে নতুন আলু কেজিপ্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পুরাতন আলু বাজারে নেই বললেই চলে, যাও আছে সেগুলোও প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে অস্থির, হিম-সিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল ১১৬-১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অস্থির হয়ে ওঠা ইলিশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বর্তমানে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা।
ডিম ও মুরগির বাজারেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ও সাদা ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা। ক্রেতারা বলেন, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হয় না। এতে অসৎ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।
বাজারের বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো চালের দাম বাড়াচ্ছেন। নিয়মিত বাজারে অভিযান চালালে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে বলেও জানান তারা।