বগুড়ার শেরপুরে পৌর শিশু পার্কের জায়গা দখল করে শেরপুর দই ও মিষ্টি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির ঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে সমিতির লাগনো ব্যানার পুড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় শেরপুর উত্তর সাহা পাড়া এলাকার পৌর শিশু পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু পার্কের দেওয়ালে কয়েকদিন যাবৎ ঝুলানো হয়েছে শেরপুর দই ও মিষ্টি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির ব্যানার। আজ সকাল থেকেই গোলাম রব্বানী নামক একজন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে দুইজন শ্রমিক পার্কের মাঠে মাটি ভরাটের কাজ করছেন।
গোলাম রব্বানী জানান, শেরপুরের হোটেল সুপার সাউদিয়ার মালিক আব্দুল মোমিন মুন্সির নির্দেশে তিনি সমিতির ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। তাকে ৪০০ বর্গফুট একটি টিনের ঘর নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। তিনি অনুমোদনের বিষয়ে কিছু জানেন না।
এদিকে ঘর নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার অরুপ সরকার বলেন, এই মাঠে আমরা প্রতিবছর দূর্গা পূজার অস্থায়ী মন্দির তৈরি করি। সামতির ঘর করলে আগামী বছর থেকে সেটা সম্ভব হবে না।
এলাকার সাবেক কাউন্সিলর গোবিন্দ কুমার বাগচী বলেন, এই পার্কে আমাদের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে। মাঠ দখল হয়ে গেলে তারা আর খেলতে পারবে না। তাছাড়া পৌরসভার জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।
শেরপুর দই ও মিষ্টি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বসাক বলেন, এই ঘর তোলার সঙ্গে সমিতির কোনও সম্পর্ক নেই। সভাপতি আব্দুল মোমিন সমিতির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে এই কাজ করছেন।
এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি আব্দুল মোমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তার নির্দেশে সমিতির ব্যানার খুলে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম বলেন, নিষেধ করা সত্বেও তারা অবৈধভাবে পৌর শিশু পার্কের মাঠ দখলের চেষ্টা করেছে। সমিতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।