নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সমর্থক মো: রেজাউল ইসলাম ওরফে রেঞ্জা (৬০) নামের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের বটতলী মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো: নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) এবং নওগাঁ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আহত মো: রেজাউল ইসলাম নওগাঁ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পারনওগাঁ এলাকার বাসিন্দা। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন রেজাউল ইসলাম। পথে রাত ৮টার দিকে বটতলী মোড় এলাকায় পৌঁছালে তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মীরা রেজাউল ইসলাম রেঞ্জার উপর হামলা চালিয়েছে। অবশ্যই এ ঘটনায় মামলা করা হবে। কিছুদিন দিন আগে নৌকার প্রার্থীর অনুসারী এক নেতা আমার কর্মী চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনকে ট্রাক প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। নৌকা প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল জানান, আমাদের কোন নেতাকর্মী কারোর উপর হামলা করেনি। তাদের অভিযোগের সত্যতা কতটুকু সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ধরণের হামলার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। পুলিশ অবশ্যই এ ঘটনার তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জাহিদুল হক জানান, হামলার ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ নিয়ে নওগাঁয় ৬টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটলো। এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতে নওগাঁর বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় পক্ষ-প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অন্তত ১২টি ঘটনা ঘটেছে।