প্রেমিককে পুলিশে দিলেন প্রেমিকার বাবা, এতে থানাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মো: মাহাবুব হোসেন (২৮) নামের ওই প্রেমিক। শনিবার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
মাহাবুব শিবগঞ্জ উপজেলার নাটমরিচাই গ্রামের মো: আবু সালেহের ছেলে এবং পেশায় একজন দিনমজুর। বর্তমানে মাহাবুব বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধী অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাহাবুবের সাথে প্রায় ৪ বছর ধরে পাশের গ্রামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঐ প্রেমিকার বাবা মাহবুবকে ফোন করে বিয়ের বিষেয়ে আলোচনার জন্য তাদের বাড়িতে ডাকেন। সেখানে কথা-বার্তার একপর্যায়ে তাদের মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে মাহাবুবকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মাহাবুবের নামে রাতে থানায় কোনও অভিযোগ না হওয়ায় শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে পরিবারের লোকজনের তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। তবে বেলা ১১টার দিকে মাহাবুব গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
মাহাবুবের পরিবার সূত্রে জনা গেছে, মাহাবুবের সাথে কি হয়েছে সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। রাতে পুলিশ আমাদের থানায় যেতে বলেছিলো। তবে টাকা না থাকার কারণে রাতে ছেলেকে নিয়ে আসতে পারিনি। পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছে, সেখানে দেখা যায় মাহাবুব আত্মহত্যার চেষ্টা করছে ৷ এখন ছেলের সুস্থতা এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো: স্নিগ্ধ আখতার জানিয়েছেন, জাতীয় পরিষেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন পেয়ে রাত ২টার দিকে প্রেমিককে তার প্রেমিকার বাসা থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিলো না, সকালে তার স্বজনদের হাতে তাকে তুলে দেয়ার কথা ছিলো।
তবে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সারা রাত মাহাবুব ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বসে ছিলো। তবে হঠাৎ বেলা ১১টার দিকে মাহাবুব নিজের প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশ সদস্যরা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সেখান থেকে বগুড়ার শজিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাহবুব এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।