ফেসবুক লাইভে এসে কষ্টের কথা জানিয়ে রাজশাহীতে রহিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌর শহরের হলের মোড় এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রহিমা আক্তার ও তার স্বামী সায়েম ইসলাম ওরফে সাগর পুঠিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তারা দুইজন চারঘাট পৌর এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। সায়েম ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ‘আত্মহত্যা’র সময় ওই গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন।
জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন রহিমা। ভালো লাগছিল না বলে স্বামী-সন্তানকে রেখে তিনি একাই ফিরে যান ভাড়া বাড়িতে। রহিমার বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এতে রহিমা একা হয়ে পড়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আগেও কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, আজ ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি তাঁর দুঃখ-কষ্টের কথাগুলো বলেন। মা-বাবাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। স্বামীর উদ্দেশে রহিমা বলেন, তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে।
আমি তোমাদের দুজনকেই খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে তোমার নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাকে তুমি সময় দিয়ো।
তিনি আরও জানান, ফেসবুক লাইভ শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে বুধবার (১৯ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারঘাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।