বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় কিশোরী মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রিকশাচালক মো. শাকিল আহমেদ (৪০) নামের এক বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় করতোয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম ও তার সহযোগী মতি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিতুর বিরুদ্ধে আগেও চারটি মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত শাকিল শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বগুড়া ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমাস আলী জানান, জিতু বেশ কিছুদিন ধরে শাকিলের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে শাকিল রাজি না হওয়ায় দুজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এর আগেও তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরে শাকিলের বাড়িতে হামলা চালায় জিতু ও তার লোকজন। শাকিল তখন পরিস্থিতি বুঝে পাশের এলাকায় তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখান থেকেও তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিতুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে এসে শাকিলকে বেধড়ক মারধর করে করতোয়া নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জিতু শাকিলের কিশোরী মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় শাকিলকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাকে ছিনতাইকারী বলে পুলিশের হাতে দেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ শাকিলকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’’
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।