২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে “ছাত্রআন্দোলনের বিজয় বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে বগুড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে এক স্মরণ ও শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে শহরের খোকন পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বগুড়া জেলা ছাত্রদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম. রাকিবুল হাসান পলাশ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন চাঁন, বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাসার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার এবং জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামস ইসলাম সাগর।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশজুড়ে মব সন্ত্রাস ও পুলিশের গুলিতে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এতে শহীদ হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনের বেশি মানুষ।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে অবৈধ শাসনের অবসান হয় এবং গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ পুনরায় যাত্রা শুরু করে। এই দিনটি ছাত্রসমাজের বিজয় এবং ফ্যাসিবাদের পরাজয়ের প্রতীক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। খুনী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে ছাত্রদল রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা সকল হত্যার বিচার ছাত্রদলের পতাকাতলে রাজপথেই আদায় করবো।”
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বালন এবং নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ।