বগুড়ায় বসতঘর থেকে শিশু সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিম। মরদেহর পাশে একটি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েকে হত্যার পর পরই মা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন পুলিশ। ওই চিরকুটে লেখছিল, এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি আমার সন্তানকে মেরে ফেলেছি।
নিহতরা হলেন, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপোইল এলাকার আবদুল মোমিনের স্ত্রী জুলেখা বেগম (২৫) ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে মুশফিকা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, আজ সকালে স্বামী আবদুল মোমিন ও মেয়ে মুশফিকাকে নিয়ে এক সঙ্গে খাবার খায় জুলেখা বেগম। পরে আব্দুল মমিন অটোরিকশা নিয়ে প্রতিদিনের মতো কাজে বের হয়। এরপর মুশফিকা ও তাঁর মা জুলেখা বেগম ঘরেই ছিলেন। পরে দুপুর গড়ে বিকাল হলেও মা-মেয়ের কোনও সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে বসতঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পান বিছানায় পড়ে আছে ৪ বয়সী শিশু মুশফিকার মরদেহ, আর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন জুলেখা বেগম।
বগুড়ায় মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ওমর আলী জানান, ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পরে মা জুলেখা বেগমও আত্মহত্যা করেছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। পরিবারের কারো সঙ্গে জুলেখার কোনো ও বিবাদ ছিল না। মরদেহগুলোর পাশে থেকে পাওয়া চিরকুটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং দুই মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি