বগুড়ায় গত তিনদিন হলো শীতের তীব্রতা প্রচণ্ড বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) জেলায় শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীত বাড়ায় শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঠান্ডাজনিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বগুড়া জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এর নিচে নামলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলে। আজ সকাল ৯টায় বগুড়ায় শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমের এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে, গতকাল সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এখন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। ফলে শীততের তীব্রতা আরও বাড়বে। জেলার পরিবহন চালকরা বলেন, প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে সড়কে গাড়ির ২/১ হাত সামনেই কিছু দেখা যায় না। এই কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ধীরগতিতে চলাচল করতে গিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে বলে জানান তারা।
অন্যদিকে, আজ ভোরে কাজের সন্ধানে বের হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন। তারা বলেন, কাজ না করলে খেতে পারবো না। তাই যত শীতই হোক বাসা থেকে বের হতেই হবে। তবে প্রচণ্ড বাতাস আর কুয়াশা থাকার কারণে কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই মৌসুমে এখনও শীত বস্ত্র নিয়ে কেউ তাদের পাশে দাঁড়াইনি বলেও জানান তারা।