বগুড়ার শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শাহীন আলম (৩৫) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জগন্নাথপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাহীন আলম উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহা পাড়া এলাকার আতোয়ার কসাইয়ের মেয়ে আঙ্গুরী বেগম (৩২)। প্রায় ১৮ বছর আগে খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। দাম্পত্য কলোহর জেরে দুই মাস আগে আঙ্গুরী তালাক দেন আসাদুলকে।
এরপর থেকে তাদের সন্তান উত্তর সাহা পাড়ায় নানার বাড়িতে থাকে। ঘটনার দিন রাতে আঙ্গুরী পারভবানীপুর গ্রামের শাহীন আলমকে সাথে নিয়ে তার মেয়ের সাথে দেখা করতে আসেন। ফেরার পথে তারা জগন্নাথপাড়া অর্টিস্টিক স্কুলের মোড়ে পৌছলে আসাদুল শাহীনের মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহীন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় জুয়েল বলেন, আমি বাড়ি ফেরার সময় একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখি। আমি তাকে থামানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। এরপর ঘটনাস্থালে এসে হামলা ও আহত হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে থানায় খবর দেই। পুলিশ এসে শাহীনের মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেয়। এসময় আঙ্গুরী বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি।
আহত শাহীন আলম বলেন, আসাদুল আমার খালাতো ভাই। আঙ্গুরীর সাথে আমার পরোকীয়ার সম্পর্ক আছে বলে সে সন্দেহ করতো। এজন্যই সে আমার উপর হামলা করেছে। আমি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমে) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার মাথায় ১৮টি সেলাই করা হয়েছে। সম্ভবত কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে আঘাত করা হয়েছে। একটু সুস্থ হলেই আইনের আশ্রয় নিব।
শেরপুর শহরের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হামিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে শাহীনের মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।