বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক এখন সাধারণ মানুষের জন্য এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে পৌরসভার সড়ক উন্নয়নের অজুহাতে বিপুল পরিমাণ নির্মাণ সামগ্রী ও ভারী যন্ত্রপাতি। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, আর যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয়দের।
রোববার (২০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ঢাকা-বগুড়া লেনের মোহনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এবং বগুড়া-ঢাকা লেনের টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজের দক্ষিণে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মেশিন ও সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অব্যবস্থার কারণে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, “পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় মাইকিং করে সড়কের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখতে নিষেধ করা হয়। অথচ এখন পৌরসভার ঠিকাদারই এই কাজটি করছেন। এতে পথচারীদের চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, রাতের বেলায় এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান, পৌরসভার সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্যই ওই দুই স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রæত কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম মহাসড়কের ওই দুটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মহাসড়কের নিরাপত্তা এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন সময় স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো উড়ালসড়ক নির্মাণের দাবিও জানিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এসব সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। এই পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী, যাতে মহাসড়কে আর কোনো অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা না ঘটে।