বগুড়া শহরে মালতিনগর এলাকায় বসতবাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তাসনিম বুশরা (১৪) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৪ মে) রাত ৮টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বুশরা মারা যায়।
বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার স্বজনরা জানান, রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে বিস্ফোরণে তাসনিম বুশরা দগ্ধ এবং দেওয়াল চাপায় গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনিত হলে ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার অপারেশন করা হয়। কিন্তু তখনও সে শঙ্কামুক্ত ছিলো না। অবশেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকায় মো: রেজাউল ইসলামের বসতবাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায় এবং বাড়ির সামনের ২টি ঘরের ইটের দেয়াল ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের সময় বাড়ির মালিক রেজাউলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, ভাতিজি জিম ও প্রতিবেশী তাসনিম বুশরা গুরুতর আহত হয়।
ঐ বাড়ির মালিক রেজাউলের মা মোছা: রেজিয়া বেগম ও তার ছোট ভাই মো: রাশেদুল দীর্ঘদিন ধরে পটকা তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলো। ঘটনার রাতেই পুলিশ বাড়ির মালিক রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার (২৯ এপ্রিল) পুলিশ বাদী হয়ে ১ জনের নাম উল্লেখসহ অসংখ্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পরে সোমবার রেজাউলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে হাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে রেজাউলের মা রেজিয়া বেগম ও ভাই রাশেদুল পলাতক রয়েছেন।
বগুড়া শহরে বসতবাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: তরিকুল ইসলাম জানান, তাসনিম বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে শুরু থেকেই তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কার মধ্যে ছিলো। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।