ভোলার চরফ্যাশনে প্রেমিকের সাথে পালানোর ১১ দিন পর মেঘনা নদীর তীর থেকে জোসনা বেগম (১৭) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বেতুয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে ব্লকের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত জোসনা বেগম উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মো: জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানিতে মরদেহটি ভেসে এলে বেতুয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে ব্লকের ওপর আটকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি আরো জনান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে জোসনা নামের ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মৃত তরুণীর পরিচয় না পাওয়া গেলেও স্থানীয় লোকজন তরুণীর মরদেহের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে তার স্বজনরা জানতে পারেন। পরে স্বজনরা থানায় এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
নিহত জোসনার পরিবার সূত্রে জনা গেছ, মো: মানিক নামের এক ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতো জোসনা। ছেলেটি ঢাকায় ভারা বাড়িতে থাকে। কিন্তু তার নিজের বাড়ি-ঘর কোথায় সে বিষয়ে কিছুই জানি না। গত ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই ছেলের সাথে ঢাকায় চলে যায় সে।
চলে যাওয়ার একদিন পর বাড়িতে ফোন করে জানায় প্রেমিক মানিক তাকে বিয়ে করার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছে। এরপর গত ৪ দিনে আর কোনো যোগাযোগ করেনি জোসনা। পরিবার দাবি করছে প্রেমিক মানিক জোসনাকে ভোগ করার পর হত্যা করে তার মরদেহ নদিতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ওই প্রেমিকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।