বাগেরহাটে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী মোংলা থানার ওসি, সহকারী পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময়কে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আবুল হাসনাত খান।
যশোর জেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই নারী লিখিত অভিযোগে জানান, ৫ বছর আগে হিরন্ময় সরকারের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন। নিজের ধর্ম ও পরিচয় গোপন করে ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন হিরন্ময়।
গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গভীর প্রেম হয়। পরে বিয়ে করার আশ্বাসে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় ভ্রূণ নষ্ট করান। কিছুদিন পর হিরন্ময় ওই নারীর সাথে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেন।
গত বৃহস্পতিবার (০৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরবর্তীতে মোংলা থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মো: আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) মো: মুশফিকুর রহমান তুষারকে বিষয়টি খুলে বলেন।
শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপার আশ্বাস দিলে ওই নারী রবিবার (১২ মে) মোংলা থেকে যশোরে নিজের বাড়েতে ফিরে যান।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাগেরহাটে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আবুল হাসনাত খান জানান, অভিযুক্ত হিরন্ময় সরকারকে প্রত্যাহার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হিরন্ময় সরকার জানান, বেশ কয়েক মাস আগে তার সাথে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারীর সাথে তার শুধু বন্ধুত্ব ছিলো। তাদের মধ্যে কোনো শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।