বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ বাড়ায় এই পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।
তবে স্বস্তি ফেরেনি আলুর দামে। নতুন ভারতীয় আলু এসেছে অনেক আগেই। বাজারে এখন দেশি নতুন আলুও এসেছে। এর পরেও পুরনো আলুর দাম কমেনি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন ও পুরনো আলু। পুরনো আলু খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, জোয়ারসাহারা ও বাড্ডা বাজার সরেজমিন ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন আলু বাজারে এলেও কৃষকরাই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমেনি পণ্যটির। বাজারে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকার কারণে আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ায় পণ্যটির দাম কমেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি মানভেদে ১০০-১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৯০-১১০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে রসুন। আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি রসুন কেজি ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল নতুন দরের বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখা গেছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মুরগির দামে নরচর নেই। বেশ কিছু দিন ধরেই ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি মানভেদে ২৯০- ৩১০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৬০-৮০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৮০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা। প্রতি পিস লাউ ৫০-৭০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা।