শীত না আসতেই বাজারে মিলছে পাতাকপি, শিম, ফুলকপি, মূলাসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজি। এদিকে নতুন সবজির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ থাকলেও লাগামহীন দামের কারণে ধারে-কাছেও যেতে পারছে না মধ্য ও নিন্মবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিমের দাম দোকানভেদে কেজিতে চাওয়া হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা ও ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার বাজার সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি হওয়ায় সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর কারণে দামটা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।
বাজারে পাতাকপি, শিম, ফুলকপি, মূলা, ঢেঁড়স সহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজির দেখা মিলছে। এর সাথে রয়েছে বেগুন, করলা, পটল, শসা, ঝিঙা, টমেটো, গাজরসহ অন্যান্য সবজিও। সব ধরণের সবজির পর্যাপ্ত পরিমণ সরবরাহ থাকলেও দাম আগের মতোই বেশ চড়া। এর ফলে সবজির বাজারে এসে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।
বিক্রেতারা জনায়, বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম শুরু হচ্ছে ৬০, ৭০, ৮০ এবং ৯০ টাকায়। নতুন ফুলকপি প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আর বেগুন জাতভেদে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, মূলা ১০০-১৩০ টাকা, শালগম ১০০-১১০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া, প্রতি হালি কাঁচাকলার দাম ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। পিছিয়ে নেই গাজ-শসার দামও। দেশি শসার কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মানভেদে গাজর ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা। দেশি আদার কেজি ৫০০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ২২০ টাকা, আমদানি করা রসুন মানভেদে ২০০ টাকা। শুকনো দেশি লাল মরিচের কেজি ৩৫০ টাকা, আমদানি করা শুকনো মরিচ ৫০০ টাকা।