বানের জলে ভাসছে সুনামগঞ্জ। পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এমনকি পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। এতে ৩ হাজার ৭৪৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই জেলা এখন ভাসছে বানের জলে ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার বাসিন্দারা। শুরু থেকেই এই ২ উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়লেও এখানে জেলা প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
তবে সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুরসহ ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল যখন তলিয়ে গেল ঠিক তখন নড়ে-চড়ে বসেন জেলা প্রশাসন। তাৎক্ষণিক নেওয়া হয় বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি। তবে প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সামিরা বেগম জানান, আমার সাজানো গোছানো সংসারটা বান্যার জলে ভেসে গেল। সবকিছু ফেলে এসে এখন জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নিয়েছি।
বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে কবির মিয়ার বাড়িসহ চাষের জমি। তিনি আক্ষেপ করে জানান, আমরা কি এই বন্যার কবল থেকে কোনো দিনও মুক্তি পাবো না? অনেক কষ্টে রয়েছি কয়েকদিন ধরে, পেট ভরে দু মুঠো খেতে পাচ্ছি না।
বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির বদলে আরো অবনতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মামুন হাওলাদার। তিনি জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।
তবে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।