বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিকভাবে কিছু বলার নেই। এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিকভাবে কিছু বলার নেই। বিএনপির কেউ দল পরিবর্তন করলে, সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কাউকে জোরপূর্বক নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে শনিবারে (২ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে রেখে জনপ্রিয়তার জন্য এগিয়ে গেলে সেটাকেও বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণ নির্বাচনে ভোট দিলে তা যাচাই হবে।
কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী দল গুলোকে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনে অনেক বাধা-বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র-সন্ত্রাস ও হরতাল-অবরোধ দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচন থেকে বাধা দেওয়া যায়নি। অনেক অপচেষ্টার পরও এ দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও জানান, বিএনপি ১ দফার গভীর গর্তে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে থমকে গেছে। এতে তাদের নেতাকর্মীরাও হতাশ হয়েছেন। ভবিষ্যতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আন্দোলনের ডাকে মাঠে নামবে কিনা এটাই সন্দেহ।
তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক উল্লেখ করে তিনি জানান, বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। বর্তমানে ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪-১৫টি দল নির্বাচনের বাইরে রয়েছে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব-উল্লাস দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি আসবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগের সাথে ভারতকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচন আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা হয়- এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। সকল ব্যবস্থা তারা স্বাধীনভাবে নিতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা দেখলে সকল কিছুরই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে দেশের ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষে আছেন। বিএনপি ভুল রাজনীতির জন্য তারা জনসমর্থন হারিয়েছে।