বিচারিক আদালতে করা সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সর্বশেষ, ‘হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেন’ সংক্রান্ত অভিযোগ থেকেও তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন, যেখানে তারেক রহমানসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা বাকি নেই। এর আগে বিভিন্ন দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং এবং অন্যান্য অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান ছিল, তবে একে একে সব মামলা থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যা মামলা সংশ্লিষ্ট ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল। অভিযোগ ছিল, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যাকাণ্ডের আসামি সাফিয়াত সোবহান সানভীরকে দায়মুক্তি দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছিল। তবে আদালতে দুদক কোনো সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় আসামিরা খালাস পান।
বিগত সরকারের আমলে একাধিক মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন তারেক রহমান। তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো একে একে আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হতে থাকে। এরই মধ্যে, ৬ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়াও মুক্তি পান।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন? যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখন পর্যন্ত তার ফেরার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করেননি, তবে তারা বলছেন, আইনি বাধা আর নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইনি বাধা নয়, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তার নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
তবে বিএনপির নেতারা আশাবাদী, রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অনুকূল হলে তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন।