বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে প্রেমিক লাপাত্তা রয়েছেন। প্রায় ৮ মাস ধরে নুপুর বালার (২২) সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন সুফদেব কুমার (২৩) নামের এক বেকার যুবক।
এরই মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকা নুপুর বালাকে নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন প্রেমিক সুফদেব । কিন্তু পরিবারের চাপের কারণে প্রেমিকাকে বাড়িতে রেখেই পালিয়ে যান সুফদেব। তবে নুপুর বালা প্রেমিকের বাড়ি ছেড়ে যাননি। বিয়ের দাবিতে ৭দিন হলো সেখানেই অবস্থান করছেন নুপুর।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার পেচিঁগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সুবদেব কুমার ওই গ্রামের নারায়ণ মন্ডলের ছেলে। আর নুপুর বালার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে নুপুর বালা প্রেমিক সুদেবের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার বিধান চন্দ্রের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে নুপুর বালার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ১ বছর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী বিধান চন্দ্রের মৃত্যু হয়। নুপুর বালা তার শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই সববাস করেন।
এ অবস্থায় প্রতিবেশী সুফদেব কুমারের সঙ্গে নুপুর বালার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর একপর্যায়ে গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) নুপুর বালা প্রেমিক সুফদেবের বাড়িতে আসেন। এ সময় প্রেমিকা নুপুর বালাকে বাড়িতে রেখে প্রেমিক সুফদেব কৌশলে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে প্রেমিকা নুপুর বালা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
নুপুর বালা জানিয়েছেন, সুফদেব প্রথমে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো। এরপর সম্পর্ক গভীর প্রেমে গড়ালে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। সুফদেবের কথামতো আমি তার বাড়িতে এসেছি।
যেহেতু সুফদেব আমাকে বিয়ে করবে বলে আসতে বলেছে, সেহেতু বিয়ে না করে আমি তার বাড়ি থেকে যাবো না। প্রয়োজনে এখানেই মারা যাবো। কিন্তু আমি সুফদেবের স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই। তবে সুফদেব পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কার হবে।