রাজধানীর বেলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশার মৃত্যুতে তার ফরিদপুরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার (০১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে লামিশার মরদেহ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। লামিশার পরিবারের সদস্যরা লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। লামিশার মরদেহ দেখতে স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা ভিড় জমান।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষর্থী লামিশার বাদ জুমা চকবাজার জামে মসজিদে তারা জানাজা হয়েছে। এরপর তাকে রজাবাড়ীর আলীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মগবাজারের পুলিশ কোয়ার্টারের বাসা থেকে বেলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিল লামিশা ইসলাম।
এরপর ওই ভবনে রাতে আগুন লাগার পর লামিশা তার বাবার মোবাইলে কল দিয়ে বলে, তারা আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছেন আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পায়নি। ভবনের ভেতরে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
লামিশা ইসলাম বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষর্থী ছিলেন। তারা বাবা মো: নাসিরুল ইসলাম শামীম পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি পদে কর্মরত রয়েছেন। মো: নাসিরুল ইসলাম শামীমের দুই মেয়ের মধ্যে লামিশা ছিলেন তার বড় সন্তান। লামিশার মা ২০১৫ সালে মারা যান।