দেশে ইন্টারনেট সেবা অনেকটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ব্রডব্যান্ড সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ৪০ শতাংশ গ্রাহক। বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) বিকাল ৫টায় মহাখালীর ১৪ তলা খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার ফলে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। ব্রডব্যান্ড সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড গ্রাহক। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় ভবনটি অগ্নিমুক্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।
খাজা টাওয়ারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কোম্পানির ডেটাসেন্টার ও সার্ভার রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে সারা দেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার যুক্ত রয়েছে।
ভবনে লাগা আগুনে বেশ কয়েকটি ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
যার ফলে দেশে ইন্টারনেট সেবা অনেকটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
সারা দেশে ৫০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইন্টারনেট পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া।
তিনি যানান, যে পরিমাণ ব্যাকআপ সিস্টেম আছে সেটা অপ্রতুল যার ফলে আগামীকালও সমস্যা হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রেস অনলাইনের ডেপুটি ম্যানেজার কাজী মাহতাবউল ইসলাম বলেন, এই ভবনে অনেক ডেটা সেন্টার ও ইন্টারনেট প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখান থেকে দেশের বড় একটি অংশ ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে কিন্তু আগুন লাগার ফলে এই সেবা বন্ধ রয়েছে। দেশের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এই ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএসপিএ)।