উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া মা আফসানা প্রিয়ার (৩০) মরদেহ অবশেষে শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে (২৪ জুলাই) তার পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আফসানা প্রিয়ার বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদীআশুলাই গ্রামে। তার স্বামী আবদুল ওহাব মৃধা স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী।
গত সোমবার সকালে আফসানা প্রিয়া তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে আফসান ওহীকে স্কুলে নিয়ে যান। ছেলে শ্রেণিকক্ষে পৌছেঁ দিয়ে তিনি অভিভাবকদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় হঠাৎ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুল ভবনের একটি অংশে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার পর চারদিকে হইচই শুরু হলে অনেক অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে আসেন। আফসান ওহী অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও তার মাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা আশঙ্কা করছিলেন আফসানা প্রিয়াই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। কারণ বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে তিনি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হলেও তা এতটাই বিকৃত ছিল যে চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পরে মঙ্গলবার আফসানার বাবা আব্বাস উদ্দিন ও মা মিনু বেগমকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ নিয়ে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হওয়া যায়, উদ্ধারকৃত মরদেহটি আফসানা প্রিয়ারই।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনাক্তের পর গতকাল বিকেলে তারা মরদেহ গ্রহণ করেন।
আফসানার চাচা তাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শঙ্কাই সত্যি হলো। বিমানটা ওর গায়ে পড়েছিল বলেই আমরা বুঝেছিলাম, আর ওকে বাঁচানো যাবে না।”