কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মায়ের পরকীয়ার জেরে প্রাণ হারিয়েছে দেড় বছরের এক শিশু। শনিবার (৭ জুন) রাতে গলাটিপে হত্যা করা হয় ছোট্ট নূসরাতকে। ঘটনার পর শিশুটির মা আয়েশাকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
রোববার (৮ জুন) আয়েশা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশের দাবি, পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে গিয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন তার মা আয়েশা।
এ ঘটনায় শিশুটির দাদা আবুল কালাম ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আয়েশা, আলমগীর এবং ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক শাহরিয়ার কবিরকে আসামি করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নূসরাতের দাদা আবুল কালাম বলেন, প্রায় চার বছর আগে তার ছেলে উমর ফারুকের সঙ্গে আয়েশার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান, চার বছরের ছেলে আলিফ এবং দেড় বছরের মেয়ে নূসরাত। এক দেড় মাস আগে আয়েশা প্রেমিক আলমগীরের সঙ্গে পালিয়ে যান। বড় ছেলেকে ফেলে শুধু মেয়ে নূসরাতকে সঙ্গে নেন তিনি। এরপর ভৈরবের লক্ষীপুর এলাকার শাহরিয়ার কবিরের বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করতেন আয়েশা।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে সেই ভাড়া বাসাতেই আয়েশা নিজের মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোয়াদ রুহানী বলেন, “রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা স্বীকার করেছেন যে, তিনিই গলা টিপে হত্যা করেছেন মেয়েকে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আলমগীর নামের অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”