কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া শাহ পরানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লার ১১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ফজর আলী নামের এক যুবককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে শাহ পরান ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী নারী এবং অভিযুক্ত ফজর আলীকে মারধর করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ওই নারী ২৮ জুন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর ৩ জুলাই শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে শাহ পরানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রমজান, মোহাম্মদ আলী সুমন, মো. আরিফ ও মো. অনিক নামের চার যুবককে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বলেন,“শাহ পরান ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীর ছোট ভাই। ঘটনার ভিডিও ছড়ানোর পরিকল্পনা মূলত তারই ছিল। রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, আগে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।