রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে গলার ফাঁস দিয়ে নয়ন (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। রাবিবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কুতুবখালী বড় মসজিদ সংলগ্ন মো: খোরশেদ মাদবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নয়নকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নয়ন যাত্রাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহত নয়নের বাবা রাজা মিয়া বলেন, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়। বর্তমানে তারা কুতুবখালী এলাকার ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি নিজে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে মাছ ব্যবসা করেন। নয়ন পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার ব্যবসার দেখাশোনা করতো।
তিনি আরও বলেন, নয়ন অত্যন্ত জেদি স্বভাবের ছিল। রাতে নয়ন জানায়, তার মোবাইল ফোনটি পুরাতন হয়ে গেছে নতুন একটি মোবাইল ফোন কিনে দিতে। তখন তার বাবা রাজিও হন
নতুন ফোন কিনে দিতে। এরপরও সকালে হঠাৎ করেই নয়ন তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।
তখন তার মা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার বাবাকে খবর দিলে বাসায় এসে দরজা ভাঙেন। তিনি ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে নয়ন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেক কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে নয়ন আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে আর কিছু জানতে পারেননি নয়নের বাবা।
যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে গলার ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো: বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহত নয়নের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানায় জানানো হয়েছে।