বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দেওয়ায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে পাঁচ পরিবার। নওগাঁর মহাদেবপুরের খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে মো: জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বসতবাড়িতে চলাচলের একমাত্র রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে তার পরিবারসহ পাঁচটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রাম থেকে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকরী কৃষক মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, জমি জমার বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ চলাচলের রাস্তা হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় প্রতিবেশী মৃত আছমত আলীর ছেলে আক্কাছ আলী , মৃত আকরাম আলীর ছেলে, মো: আসাদুজ্জামান রানা ও আফজাল আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন আরও ৬ থেকে ৭ জনকে নিয়ে এসে আমার বসতবাড়ির সামনে আমাদের চলাচলের রাস্তার উপর জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করিয়া দেয়।
আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তাদেরকে চলাচলের রাস্তায় বেঁড়া দেওয়ার কাজে বাধা প্রদান করলে তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠিসোঠা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। আমাদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে আমারাসহ আরও পাঁচটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো: আসাদুজ্জামান রানা বলেন, জাহিদুল ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমির উপর দিয়ে চলাচল করে আসছিল। এখন আর আমরা আমাদের খলিয়ানের উপর দিয়ে রাস্তা দিতে চাই না। তাই আমরা বাঁশ দিয়ে বাঁশের বেড়া দেই দুই এক হাত তাদের জমির উপর যেতে পারে। পরবর্তীতে সেটি আমরা সরিয়ে নিয়ে আমাদের জমিতে বেড়া দিব।
ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী রাম প্রশাদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে একটি সালিশি বৈঠকের কথা ছিলো। তার আগে তারা বেড়া দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে।
বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে নওগাঁ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোজাফফর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।