পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহতের মামলা মো: নাছির ভাণ্ডারী ওরফে নাছিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১২ ও র্যাব-৩ যৌথ অভিযানে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে নাছিরকে গ্রেপ্তার করে। নাছির পাবনা সদর উপজেলার নলদহ গ্রামের মো: মুক্তার ভান্ডারির ছেলে।
২ শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবু সাঈদ খাঁনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে নাছির পরিচিত। নাছির হত্যা মামলার ৮ নম্বর আসামি।
পাবনায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আসামি নাছিরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো: এহতেশামুল হক খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প ও র্যাব-৩ এর একটি যৌথ দল রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি নাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে পাবনায় এনে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে ১টি রিভলবার ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পাবনা মধ্য শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর আ. লীগ নেতারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মো: জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মো: মাহবুব হাসান নিলয় (১৪)।
নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুলের বাবা মো: দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।