আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচবো না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন হিরো আলম। বগুড়ায় আদালত চত্বরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এ মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানায় হিরো আলম এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকার শামীম, শাজাহানপুর উপজেলার আবু হাসান (২৮), নন্দীগ্রাম উপজেলার মামুন আহম্মেদ (২৬), গাবতলী উপজেলার নাজমুল ওরফে সবুজ (৩০), সদর উপজেলার উলিপুরের নুরুল ইসলাম (৪২), কুকরুল এলাকার উজ্জ্বল (৩১), সবুজ (৩২), ও জাহাঙ্গীর(৪৮)।
মামলায় হিরো আলম উল্লেখ করেছেন, বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সামনে ওপরে উল্লিখিত আসামিরা হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ বেধড়ক মারপিট করেন।
মঙ্গলবার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর হিরো আলম শহরতলীর এরুলিয়া এলাকায় তার নিজ ভবনে সাংবাদ সম্মেলনে বলেন, আদালত চত্বরে আমার ওপর হামলার ঘটনায় আমি বগুড়া সদর থানায় ৮ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছি। এদের মধ্যে মো: নুরুল আওয়ামী লীগের কর্মী আর বাকি সবাই বিএনপি দলের সাথে জড়িত।
হিরো আলম জানান, আমি হয়তো আর বেশিদিন বাঁচব না। আমাকে এ ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা হয়তো আমাকে একবারে মেরে ফেলবে নয়তো জেলের ভেতরে রাখবে। তবে আমি হিরো আলম কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।
উল্লেখ্য, রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী হিরো আলম ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু, নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বচনী প্রচারণার সময় মারধরের শিকার এবং ২০২৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারিতে একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো: কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
এরপরই দুপুর ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কান ধরে উঠবস করানোসহ বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় হিরো আলম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দায়ী করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলমের করা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
পরদিন সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আবারো হিরো আলম সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা ওই সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম তার ওপর হামলার জন্য বিএনপি’র পাশাপাশি আওয়ামী লীগ’কেও দায়ী করেছেন।