বগুড়ার শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীসহ উভয় পক্ষের ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের গড়েরবাড়ি গ্রামে সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুরসহ উভয় পক্ষের ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ শেখ বাদি হয়ে সোমবার রাতে শেরপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, ১৯৭৯ সাল থেকে এ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আদালতের রায় পেয়ে ২০২৩ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন আব্দুল মজিদ শেখ। হঠাৎ করে শামিম হোসেন ও আব্দুল আলিম বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করেছেন।
তাদেরকে আদালতের রায় নিয়ে এসে বাড়ির কাজ বন্ধ করার কথা বলায় তারা মজিদ শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও বিদ্যুতের মিটার ভাংচুর করে নারীসহ ৬ জনকে আহত করেছে। আহত নাছিম উদ্দিন (৩০), রুবি খাতুন (৩৮), আতিকুর রহমান (২৬), আবুল কালাম আজাদ (৩৭), জিহাদ হোসেন (২৩), আমজাদ হোসেন সহ সকলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মজিদ শেখ বলেন, আমরা দুইদিন যাবৎ অন্ধকারে আছি। আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি। যেকোন মুহুর্তে আমাদের উপর আবারও তারা হামলা চালাতে পারে।
অন্যদিকে মোখলেছুর রহমান, আব্দুল আলীম ও তোতা মিঞা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ১৯৭৯ সাল থেকে এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত সোমবার শামিম হোসেন ও আব্দুল আলিম বাড়ি সংস্কার করতে নিলে আব্দুল মজিদ সহ বিবাদীরা বাধা দেয় এবং হামলা চালিয়ে নারী সহ ৩ জনকে আহত করেছে। আহত বিউটি খাতুন, মোখলেছুর রহমান ও জামাল শেখ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আদালতের রায় না পাওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।