রাজশাহীতে এক পা হারানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গণপিটুনিতে মারা যান। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা পদে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রজীবনে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাবির সহ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিনোদপুর এলাকায় একদল যুবক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তার ১টি পা ভেঙে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে রজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
এর আগে, মাসুদের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীরা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের উপর হামলা চালিয়ে তার ১টি পা কেটে নেয়। তার হাত পায়ের রগও কেটে দেয়। এরপর থেকেই তিনি পঙ্গু জীবনযাপন করছিলেন। কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করতেন মাসুদ।
২০২২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে স্টোর অফিসার পদে আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মাসুদ মেয়ে সন্তানের জনক হন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রসূতি স্ত্রী ও নবজাতকের জন্য ওষুধ কিনতে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শনিবার রাতে বিনোদনপুর বাজারে যান। তখনই তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
রাজশাহীতে এক পা হারানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুদ পারভেজ জানান, রাতেই তাকে গুরুতর অবস্থায় থানায় আনা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নামে স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের ফাঁসির দাবি করা হয়।
পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।